ষষ্ঠ শ্রেণীর আমাদের পরিবেশ
অধ্যায় ৪
শিলা ও খনিজ পদার্থ
WB Class 6 Amader Poribesh Chapter 4 প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা আজকে ষষ্ঠ শ্রেণীর আমাদের পরিবেশের চতুর্থ অধ্যায় (শিলা ও খনিজ পদার্থ ) এর গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন ও সঙ্গে উত্তর দেওয়া হলো।এই প্রশ্ন গুলি পরীক্ষায় আসার মত।তোমরা এই প্রশ্ন গুলি পড়লে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবে। আমাদের ওয়েবসাইট এ সময় বিষয়ের প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া আছে । চাইলে তোমরা দেখে নিতে পারো।
১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো WB Class 6 Amader Poribesh Chapter 4
১. জীবাশ্ম জ্বালানি তৈরি হয়—
(i) শিলা থেকে
(ii) জীবাশ্ম থেকে
(iii) জীবের দেহাবশেষ থেকে
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তর: জীবের দেহাবশেষ থেকে।
২. বর্তমানে কয়লার প্রধান ব্যবহার—
(i) উনুন জ্বালাতে
(ii) তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে
(iii) ধাতু নিষ্কাশনে
(iv) রং তৈরিতে
উত্তর: তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে।
৩. কয়লার প্রধান উপাদান মৌল হলো—
(i) কার্বন
(ii) হাইড্রোজেন
(iii) অক্সিজেন
(iv) নাইট্রোজেন
উত্তর: কার্বন।
৪. নিচের কোনটি পেট্রোলিয়ামজাত নয়?
(i) প্লাস্টিক
(ii) আলকাতরা
(iii) কেরোসিন
(iv) পিচ্ছিল তেল
উত্তর: আলকাতরা।
৫. সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের কয়লা—
(i) পিট
(ii) অ্যানথ্রাসাইট
(iii) লিগনাইট
(iv) বিটুমিনাস
উত্তর: অ্যানথ্রাসাইট।
৬. রেললাইনের কালো পাথর হলো—
(i) পিউমিস
(ii) ব্যাসল্ট
(iii) গ্র্যানাইট
(iv) নিস
উত্তর: ব্যাসল্ট।
৭. কোনটি পাললিক শিলা নয়?
(i) বেলেপাথর
(ii) ব্যাসল্ট
(iii) চুনাপাথর
(iv) শেল
উত্তর: ব্যাসল্ট।
৮. বক্সাইট থেকে পাওয়া যায়—
(i) লোহা
(ii) অ্যালুমিনিয়াম
(iii) তামা
(iv) আয়রন
উত্তর: অ্যালুমিনিয়াম।
৯. তামা ও টিন মিশিয়ে তৈরি হয়—
(i) কাঁসা
(ii) ব্রোঞ্জ
(iii) পিতল
(iv) সিলভার
উত্তর: ব্রোঞ্জ।
১০. নিচের কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়?
(i) কয়লা
(ii) গোবর
(iii) প্রাকৃতিক গ্যাস
(iv) কাঠ
উত্তর: গোবর।
WB Class 6 Amader Poribesh Chapter 4
২. ঠিক (✔) ও ভুল (✘) চিহ্ন দাও
১. গ্র্যানাইটে অনেক ছিদ্র দেখা যায়।
২. জলের নিচে আগ্নেয়শিলা তৈরি হয়।
৩. স্লেটপাথর তৈরি হয় শেল নামক আগ্নেয়শিলা থেকে।
৪. সব আকরিক খনিজ পদার্থ, কিন্তু সব খনিজ পদার্থ আকরিক নয়।
৫. অ্যালুমিনিয়াম ও দস্তা প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
৬. লোহার আকরিক কপার গ্লান্স।
৭. ইস্পাত লোহার চেয়ে শক্ত এবং বেশি ভার সহ্য করতে পারে।
৮. পেট্রোলিয়াম গ্যাসীয় জ্বালানি নয়।
৯. ধাতু নিষ্কাশনে কোক ব্যবহৃত হয়।
১০. CNG-এর প্রধান উপাদান তরল প্রোপেন।
উত্তর:
১. ✘ ২. ✘ ৩. ✘ ৪. ✔ ৫. ✘ ৬. ✘ ৭. ✔ ৮. ✘ ৯. ✔ ১০. ✘
WB Class 6 Amader Poribesh Chapter 4
৩. শূন্যস্থান পূরণ করো
১. কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসকে বলা হয় …………….।
২. কয়লা মানুষের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ……………..।
৩. পেট্রোলিয়াম শোধনে ……………….পাওয়া যায়।
৪. ………………….হলো এক ধরনের চটচটে তরল পদার্থ।
৫. LPG-এর প্রধান উপাদান ………………..।
৬. শোধিত প্রাকৃতিক গ্যাসকে ………………বলে।
৭. পৃথিবীর গভীরে তরল অবস্থায় থাকা পাথরকে বলে ……………।
৮. ম্যাগমা ফেটে বেরিয়ে এলে তাকে বলে …………………।
৯. জমাটবাঁধা লাভা থেকে তৈরি হয় ………………………….।
১০. পিউমিস পাথরে অনেক …………….থাকে।
১১. গ্র্যানাইটের পরিবর্তিত রূপ হলো …………….।
১২. প্রকৃতিতে প্রাপ্ত ধাতুকে বলে ……………………..।
১৩. যে খনিজ থেকে ধাতু পাওয়া যায়, তাকে বলে ………………।
১৪. অ্যালুমিনিয়াম ও অক্সিজেনের যৌগ হলো …………………।
১৫. তামা ও দস্তা মিশিয়ে তৈরি হয় ………….।
১৬. লোহার বদলে …………….. মরচে পড়ে না।
১৭. ধাতু বা অধাতুর তরল মিশ্রণ ঠান্ডা হলে পাওয়া যায় …………………..।
১৮. ‘অশ্ম’ শব্দের অর্থ হলো ………………..।
উত্তর:
১. জীবাশ্ম জ্বালানি, ২. জীবাশ্ম জ্বালানি, ৩. প্রোপেন ও বিউটেন, ৪. পেট্রোলিয়াম, ৫. তরল প্রোপেন, ৬. CNG , ৭. ম্যাগমা, ৮. লাভা, ৯. আগ্নেয়শিলা, ১০. ছিদ্র, ১১. নিস ১২. খনিজ বা মিনারেল, ১৩. আকরিক বা ওর, ১৪. বক্সাইট, ১৫. পিতল, ১৬. কলঙ্কহীন ইস্পাতে, ১৭. সংকর ধাতু, ১৮. পাথর

WB Class 6 Amader Poribesh Chapter 4
৪. একটি বাক্যে উত্তর দাও
১. সৃষ্টির প্রথম দিকে পৃথিবী কেমন ছিল?
উত্তর: গলে যাওয়া গরম পাথর দিয়ে তৈরি ছিল পৃথিবী।
২. দুই বা ততোধিক খনিজ মিলে কী গঠন করে?
উত্তর: শিলা।
৩. পৃথিবীর গভীরে পাথর তরল অবস্থায় কেন থাকে?
উত্তর: প্রচণ্ড তাপ ও চাপের কারণে।
৪. জমাট বাঁধা লাভাকে কী বলে?
উত্তর: আগ্নেয়শিলা।
৫. কোন পাথরে ছিদ্র বেশি থাকে?
উত্তর: পিউমিস পাথরে।
৬. পিউমিস পাথরের অপর নাম কী?
উত্তর: ঝামাপাথর।
৭. সবচেয়ে নরম শিলা কোনটি?
উত্তরে: পাললিক শিলা।
৮. কোন শিলায় জীবাশ্ম পাওয়া যায়?
উত্তর: পাললিক শিলায়।
৯. মূল্যবান ধাতু কোন শিলায় পাওয়া যায়?
উত্তর: আগ্নেয়শিলায়।
১০. মুদ্রা ধাতু নামে কোন ধাতু পরিচিত?
উত্তর: তামা
১১. পৃথিবীপৃষ্ঠ কোন শিলা দিয়ে গঠিত?
উত্তর: আগ্নেয় ও পরিবর্তিত শিলা।
১২. মারবেল কী ধরনের শিলা?
উত্তর: পরিবর্তিত শিলা।
১৩. ধাতু নিষ্কাশন কী?
উত্তর: খনিজ থেকে ধাতু আলাদা করার প্রক্রিয়া।
১৪. কপার গ্লান্সে কোন মৌল থাকে?
উত্তর: তামা ও সালফার।
১৫. সংকর ধাতুর দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: পিতল ও ব্রোঞ্জ।
১৬. তামা ও দস্তা মিশিয়ে তৈরি সংকর ধাতুর নাম কী?
উত্তর: পিতল।
১৭. রাংঝাল কী?
উত্তর: রাংঝাল হলো লোহার আকরিক, যেখান থেকে লোহা পাওয়া যায়।
WB Class 6 Amader Poribesh Chapter 4
১৮. ‘অশ্ম’ কথার অর্থ কী?
উত্তর: ‘অশ্ম’ শব্দের অর্থ হলো পাথর।
১৯. সম্প্রতি ব্যবহৃত অজীবাশ্ম জ্বালানির উদাহরণ দাও।
উত্তর: কাঠ, খড়, কাগজ ও গোবর অজীবাশ্ম জ্বালানির উদাহরণ।
২০. তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল কী?
উত্তর: কয়লা।
২১. বাতাস ছাড়া কয়লা দহন করলে যে–কঠিন পদার্থ পাওয়া যায়, তার ব্যবহার কী?
উত্তর: সেই কঠিন পদার্থটি হলো কোক, যা ধাতু নিষ্কাশনে ব্যবহৃত হয়।
২২. কয়লার অন্তধূম পাতনে প্রাপ্ত তরল পদার্থের নাম কী?
উত্তর: আলকাতরা।
২৩. LPG কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: রান্নার কাজে।
২৪. LPG-এর পুরো নাম কী?
উত্তর: লিকুয়েফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (Liquefied Petroleum Gas)।
২৫. পেট্রোলিয়াম শোধনে প্রাপ্ত গ্যাসীয় জ্বালানির নাম কী?
উত্তর: প্রোপেন ও বিউটেন।
২৬. প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান কী?
উত্তর: মিথেন।
WB Class 6 Amader Poribesh Chapter 4

৪. দু’টি বাক্যে উত্তর দাও
১. শিলা কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর ভূত্বক গঠনের সব রকম উপাদানকে শিলা বলে। শুধু শক্ত পাথর নয়, নুড়ি, কাঁকর, বালি, কাদা প্রভৃতিও শিলার অন্তর্ভুক্ত।
২. শিলা কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: শিলা তিন প্রকার—আগ্নেয়শিলা, পাললিক শিলা ও পরিবর্তিত শিলা।
৩. আগ্নেয়শিলা কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: আগ্নেয়শিলা তিন প্রকার—ব্যাসল্ট, গ্র্যানাইট ও পিউমিস।
৪. আগ্নেয়শিলা কাকে বলে?
উত্তর: অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নির্গত লাভা ঠান্ডা ও শক্ত হয়ে যে-কঠিন স্তরবিহীন শিলা তৈরি হয়, তাকে আগ্নেয়শিলা বলে।
৫. পাললিক শিলা কাকে বলে?
উত্তর: সমুদ্র বা হ্রদের তলদেশে পলি জমে চাপ ও তাপের প্রভাবে গঠিত স্তরযুক্ত নরম শিলাকে পাললিক শিলা বলে।
৬. জলজ প্রাণীর জীবাশ্ম কোন শিলায় পাওয়া যায় ও কেন?
উত্তর: জীবাশ্ম পাললিক শিলায় পাওয়া যায়, কারণ মৃত প্রাণীর দেহের ওপর পলি জমে সময়ের সঙ্গে জীবাশ্মে পরিণত হয়।
৭. দুটি পাললিক শিলার উদাহরণ দাও।
উত্তর: বেলেপাথর ও চুনাপাথর। এছাড়াও জিপসাম, কাদাপাথর ও সৈন্ধব লবণ পাললিক শিলা।
৮. খনিজ পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর: প্রকৃতিতে থাকা ধাতু বা অধাতুর যৌগ, যাদের নির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠন আছে, তাদের খনিজ পদার্থ বলা হয়।
৯. আকরিক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যেসব খনিজ থেকে সহজে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাদের বলে আকরিক (Ore)। উদাহরণ: লোহার আকরিক হেমাটাইট (Fe₂O₃)।
১০. সব আকরিকই খনিজ, কিন্তু সব খনিজ আকরিক নয় — ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: প্রকৃতিতে সব ধাতুই খনিজ আকারে থাকে, কিন্তু কেবল কিছু খনিজ থেকেই ধাতু নিষ্কাশন সম্ভব। তাই সব আকরিক খনিজ হলেও, সব খনিজ আকরিক নয়।
১১. সংকর ধাতু বা মিশ্র ধাতু কী?
উত্তর: যখন কোনো ধাতুর সঙ্গে অন্য ধাতু বা অধাতু মিশিয়ে গলিয়ে ঠান্ডা করা হয়, তখন যে কঠিন মিশ্র পদার্থ পাওয়া যায়, তাকে বলে সংকর ধাতু।
উদাহরণ: তামা ও টিনের সংমিশ্রণে তৈরি ব্রোঞ্জ।
১২. প্রাথমিক শিলা কাকে বলে ও কেন?
উত্তর: আগ্নেয়শিলা বা ম্যাগমা থেকে তৈরি শিলাকেই প্রাথমিক শিলা বলা হয়। পৃথিবীর গভীরে থাকা গলিত আগ্নেয় পদার্থ (ম্যাগমা) যখন ভূপৃষ্ঠে লাভারূপে বেরিয়ে আসে এবং ঠান্ডা হয়ে শক্ত আকার ধারণ করে, তখন তা থেকে আগ্নেয়শিলা তৈরি হয়। যেহেতু এটি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন শিলা (প্রায় ৩০০ কোটি বছর আগে প্রিক্যাম্ব্রিয়ান যুগে তৈরি), তাই একে প্রাথমিক শিলা বলা হয়।
১৩. জীবাশ্ম বা ফসিল কাকে বলে?
উত্তর: কোটি কোটি বছর আগে মৃত প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহের ছাপ বা অবশিষ্টাংশ যখন ভূগর্ভে চাপ, তাপ ও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শিলার স্তরে সংরক্ষিত থাকে, তাকে জীবাশ্ম (Fossil) বলা হয়। এটি অতীত জীবনের প্রমাণ বহন করে।
১৪. সোনায় মরচে ধরে না, কিন্তু লোহার জিনিসে কেন ধরে?
উত্তর: সোনা একটি স্থিতিশীল ও কম বিক্রিয়াশীল মৌল, তাই জল বা বায়ুর সংস্পর্শে কোনো রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে না। কিন্তু লোহা অত্যন্ত সক্রিয় মৌল। জল ও অক্সিজেনের সংস্পর্শে লোহা অক্সিডেশন বিক্রিয়ায় অংশ নেয় এবং বাদামি রঙের লোহা অক্সাইড (মরচে) তৈরি করে।
১৫. লোহার দুটি আকরিকের নাম লেখো।
উত্তর:
১. হেমাটাইট (Fe₂O₃) – লালচে রঙের লোহার আকরিক।
২. ম্যাগনেটাইট (Fe₃O₄) – কালচে রঙের চুম্বকীয় আকরিক।
১৬. কয়লার কয়েকটি উপজাত পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর: কয়লা থেকে পাওয়া প্রধান উপজাত পদার্থগুলি হল –
ন্যাপথলিন, স্যাকারিন, আলকাতরা, কোক গ্যাস ইত্যাদি।
১৭. দুটি জ্বালানি খনিজের উদাহরণ দাও।
উত্তর: কয়লা ও তেলশিলা (Oil Shale) হল দুটি প্রধান জ্বালানি খনিজ।
১৮. জৈব শিলা কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহাবশেষ দীর্ঘকাল মাটির নিচে চাপা পড়ে তাপ ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে যে শিলা তৈরি হয় তাকে জৈব শিলা বলে। উদাহরণ: কয়লা, তেলশিলা।
১৯. পেট্রোলিয়াম কী?
উত্তর: কোটি কোটি বছর আগে সামুদ্রিক জীব ও উদ্ভিদের মৃতদেহ যখন পাললিক শিলাস্তরে চাপ ও তাপের প্রভাবে রাসায়নিকভাবে পরিবর্তিত হয়, তখন একধরনের কালচে আঠালো তরল পদার্থ তৈরি হয়, একে পেট্রোলিয়াম (Petroleum) বলে। এটি থেকেই ডিজেল, পেট্রোল, কেরোসিন প্রভৃতি জ্বালানি প্রস্তুত করা হয়।
WB Class 6 Amader Poribesh Chapter 4
৫. সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
১. আগ্নেয়শিলা কীভাবে গঠিত হয়?
উত্তর: পৃথিবীর গভীরে থাকা গলিত শিলা পদার্থ (ম্যাগমা) যখন আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে এবং ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়, তখন সেই জমাট লাভা থেকে আগ্নেয়শিলা গঠিত হয়।
২. আগ্নেয়শিলার বৈশিষ্ট্য
উত্তর:
.১. খুব শক্ত ও ঘন প্রকৃতির।
২. কোনো স্তর নেই, তাই একে অস্তরীভূত শিলা বলে।
৩. এতে জীবাশ্ম পাওয়া যায় না।
৪. মূল্যবান ধাতু যেমন সোনা, তামা প্রভৃতি পাওয়া যায়।
৫. এটি পৃথিবীর প্রথম গঠিত শিলা, তাই একে প্রাথমিক শিলা বলা হয়।
৩. পাললিক শিলা কীভাবে গঠিত হয়?
উত্তর: প্রাকৃতিক শক্তির ঘাত-প্রতিঘাতে শিলা ভেঙে ক্ষুদ্র কণা বা পলিতে পরিণত হয়। এই পলিগুলি নদী, হ্রদ বা সমুদ্রের তলায় স্তরে স্তরে জমে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপ, তাপ ও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সেই পলি জমাট বেঁধে পাললিক শিলা তৈরি করে।
৪. পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য
উত্তর:
১. এটি নরম ও ভঙ্গুর প্রকৃতির।
২. স্তরযুক্ত হওয়ায় একে স্তরীভূত শিলা বলা হয়।
৩. এতে জীবাশ্ম ও জ্বালানি পদার্থ (যেমন কয়লা, পেট্রোলিয়াম) পাওয়া যায়।
৪. কিন্তু কোনো মূল্যবান ধাতু পাওয়া যায় না।
Related Post
WB Class 6 Amader Poribesh Chapter 3 Questions and Answars Sure Success
WB Class 6 Amader Poribesh Chapter 2 Questions and Answars Sure Success
WB Class 6 Amader Poribesh Chapter 1 2025 Sure Success
WB Class 6 Amader Poribesh Suchipotro 2025 Sure Success
আমাদের পরিবেশ ক্লাস 3 অধ্যায়সমুহ
WB Class 5 Amader Poribesh Book 2025 – Full Syllabus & PDF Download
পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা অধ্যায় WBBSE Class 3 Bangla – All Chapters for Success
WIKIPEDIA LINK পশ্চিমবঙ্গ_মধ্য_শিক্ষা_পর্ষদ


