wbclassroom.in

চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান

চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান: দ্বিতীয় অধ্যায় পরিবেশের উপাদান – জড়বস্তুর জগৎ প্রশ্ন ও উত্তর

চতুর্থ শ্রেণী

অধ্যায় ২

পরিবেশের উপাদান : জড়বস্তুর জগৎ

 

চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর এই অধ্যায়ে আমরা শিখব পদার্থ, বস্তু এবং এদের বিভিন্ন অবস্থা সম্পর্কে সহজ ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে। এটি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান

১। বস্তু কাকে বলে?

উত্তর: আমাদের চারপাশে যা কিছু দেখা যায়, যার যার ভর ও আয়তন আছে, তাদের বস্তু বলে।

২। বস্তু কী দিয়ে তৈরি?

উত্তর: বস্তু তৈরি হয় বিভিন্ন রকম পদার্থ দিয়ে।

৩। প্লাস্টিকের বোতল কি বস্তু?

উত্তর: হ্যাঁ,কারণ এর নিজস্ব আকার ও ভর রয়েছে।

৪। প্লাস্টিককে কী বলা হয়?

উত্তর: প্লাস্টিক একটি পদার্থ, যা দিয়ে বিভিন্ন বস্তু তৈরি হয়।

৫। পদার্থ কাকে বলে?

উত্তর: যেসব বস্তুর ভর আছে এবং স্থান অধিকার করে, সেগুলিকে পদার্থ (Matter) বলে।

৬। পদার্থ কি স্থান দখল করে?

উত্তর: হ্যাঁ, প্রতিটি পদার্থ কিছু না কিছু জায়গা দখল করে।

৭। বেলুনে কী থাকে?

উত্তর: বেলুনের ভিতরে গ্যাস থাকে।

৮। বেলুনে গ্যাস কীভাবে আসে?

উত্তর: বেলুন ফোলানোর সময় পাম্প বা মুখ দিয়ে গ্যাস ঢোকানো হয়।

৯। মশার ধূপ থেকে নির্গত গ্যাস কীভাবে টের পাওয়া যায়?

উত্তর: গন্ধ বা ধোঁয়ায় নাক ও গলা জ্বালা করে এবং কাশি আসে — ফলে গ্যাসের উপস্থিতি বোঝা যায়।

১০। ব্লিচিং পাউডারের গ্যাসে কী ধরনের অসুবিধা হয়?

উত্তর: চোখ ও নাক জ্বালা করে এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।

চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

১১। ধোঁয়ার মধ্যে কী কী উপাদান থাকে?

উত্তর: ধোঁয়ায় বিভিন্ন গ্যাস ও ছোট ছোট কণিকা মিশে থাকে।

১২। হাওয়া কবে বোঝা যায়?

উত্তর: যখন হাওয়া গাছের পাতা নাড়িয়ে দেয় বা আমাদের গায়ে লাগে, তখন আমরা হাওয়ার অস্তিত্ব টের পাই।

১৩। হাওয়ায় কি গ্যাস থাকে?

উত্তর: হ্যাঁ, হাওয়ায় অক্সিজেন, নাইট্রোজেনসহ অনেক ধরনের গ্যাস মিশে থাকে।

১৪। গ্যাসকে কি খোলা জায়গায় রাখা যায়?

উত্তর: না, গ্যাস খোলা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।

১৫। কোন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার থাকে না?

উত্তর: তরল ও গ্যাসের নির্দিষ্ট আকার থাকে না।

১৬। কোন পদার্থ গড়িয়ে যেতে পারে?

উত্তর: তরল পদার্থ যেমন জল, দুধ, কেরোসিন ইত্যাদি গড়িয়ে যেতে পারে।

১৭। কঠিন বস্তু কাকে বলে?

উত্তর: যেসব বস্তুর নিজস্ব আকার ও আকার পরিবর্তন হয় না, তাদের কঠিন পদার্থ বলা হয়। যেমন: পাথর, বই, ইট।

১৮। কয়েকটি কঠিন পদার্থের উদাহরণ দাও।

উত্তর: কয়েকটি কঠিন পদার্থের উদাহরণ হল ইট, কাঠ, কাচ, লোহা, প্লাস্টিক প্রভৃতি।

১৯। কয়েকটি তরল পদার্থের উদাহরণ দাও।

উত্তর: কয়েকটি তরল পদার্থের উদাহরণ হল জল, দুধ, পেট্রোল, তেল ইত্যাদি।

২০। কয়েকটি গ্যাসীয় পদার্থের উদাহরণ দাও।

উত্তর: অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন।

চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

২১। কোন জিনিস ভারী আর কোন হালকাকীভাবে বোঝা যায়?

উত্তর: দাঁড়িপাল্লা দিয়ে মেপে বোঝা যায়।

২২। দাঁড়িপাল্লায় ওজন মাপতে কী লাগে?

উত্তর: বাটখারা।

২৩। যদি কোনো জিনিস ভারী হয়, দাঁড়িপাল্লায় কী হয়?

উত্তর: ভারী জিনিস যেদিকে থাকে, দাঁড়িপাল্লার সে দিক হেলে পড়ে।

২৪। বাটখারা দিয়ে কী মাপা হয়?

উত্তর: বস্তু বা পদার্থের ভর।

২৫। জলের কি ভর আছে?

উত্তর: হ্যাঁ, জলের ভর রয়েছে।

২৬। কোন কোন পদার্থের ভর থাকে?

উত্তর: কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থেরই ভর থাকে।

২৭। দাঁড়িপাল্লা ছাড়া কিভাবে ভারী বা হালকা বোঝা যায়?

উত্তর: হাতে তুললে কোন বস্তু ভারী বা হালকা তা বোঝা যায়।

২৮। পদার্থের সংজ্ঞা কী?

উত্তর: যার ভর ও আয়তন রয়েছে, সেই সবকিছুকে পদার্থ বলা হয়।

২৯। পদার্থের কতটি অবস্থা আছে?

উত্তর: পদার্থের তিনটি অবস্থা আছে— কঠিন, তরল ও গ্যাসীয়।

৩০। গ্যাস সিলিন্ডারের ওজন কখন কমে?

উত্তর: রান্নার সময় গ্যাস ব্যবহারে সিলিন্ডারের ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান
চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান

আরও পড়ুন    চতুর্থ শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যায়সমুহ  Class 4 Environmental Studies All Chapters

🔡 শূন্যস্থান পূরণ করো: চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান

১। বস্তু —দিয়ে তৈরি।
২। আমরা দেখতে পাচ্ছি সবই —।
৩। বস্তু রাখার জন্য —চাই।
৪। বেলুনকে বাতাসে ফুলিয়ে নিয়ে ওটা রাখতে —জায়গা নেবে।
৫। —চোখে দেখা যায় না।
৬। —এর গন্ধে নাক-চোখ জ্বালা করে।
৭। বাতাসে গাছের —নড়ে।
৮। —আকার আছে।

১.পদার্থ ২.বস্তু ৩.জায়গা ৪.বেশি ৫.গ্যাসকে ৬.ব্লিচিং পাউডার ৭.পাতা ৮.কঠিনের

চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

আরও পড়ুন     “WB Class 4 Science Chapter 1 for success : পরিবেশের উপাদান ও জীবজগৎ প্রশ্ন ও উত্তর”

চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান
চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:

১। বালতি — (✔️ পদার্থ / বস্তু / মাছ) দিয়ে তৈরি।
২। (✔️ লোহা / পেরেক / গাড়ি) — পদার্থ।
৩। প্রত্যেক বস্তু অবস্থানের জন্য — (✔️ জায়গা / পদার্থ / ভর) চাই।
৪। জলে ভরতি কোনো গ্লাসে আঙুল ডোবালে জল — (✔️ পড়ে / বয়ে / উপচে) যাবে।
৫। লোহা — (✔️ পদার্থ / বস্তু)

চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

🧠 সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরপদার্থ, মিশ্রণ পৃথকীকরণ

পদার্থ তার প্রকারভেদ

১। পদার্থ কয় প্রকার কী কী?
উত্তর: পদার্থ তিন প্রকার – কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ।

২। কঠিন পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য উদাহরণ দাও।
উত্তর: কঠিন পদার্থের নিজস্ব একটি নির্দিষ্ট আকার থাকে। উদাহরণ: কাঠ।

৩। তরল গ্যাসীয় পদার্থের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য উদাহরণ দাও।
উত্তর: এদের নির্দিষ্ট আকার নেই। উদাহরণ: তরল – দুধ, গ্যাসীয় – বায়ু।

৪। কঠিন তরল পদার্থের মধ্যে একটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর: কঠিন পদার্থের আকার নির্দিষ্ট, কিন্তু তরল পদার্থ আকার ধারণ করে পাত্র অনুসারে।

ভর ওজন বোঝা

৫। কোন জিনিসের ভর বেশি তা কিভাবে বোঝা যায়?
উত্তর: ভারী জিনিসের ওজন বেশি হয়। দাঁড়িপাল্লা বা বাটখারা দিয়ে তা মাপা যায়।

৬। দুটি জিনিসের ভর সমান কিনা তা বোঝার উপায় কী?
উত্তর: দাঁড়িপাল্লায় দিলে যদি দুই দিক সমান থাকে, তবে ভর সমান।

৭। দাঁড়িপাল্লা তৈরি করার উপায় লেখো।
উত্তর: একটি কাঠির মাঝখানে ফুটো করে দড়ি বেঁধে, দুই পাশে সমান ঢাকনা ঝুলিয়ে দাঁড়িপাল্লা বানানো যায়।

বাষ্প, ঘনন জলের রূপ

চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

৮। গ্লাসের গায়ে ফোঁটা ফোঁটা জল কোথা থেকে আসে?
উত্তর: বাতাসের জলীয় বাষ্প ঠান্ডা গ্লাসের সংস্পর্শে জলকণায় পরিণত হয়।

৯। গ্লাসের ওপরে দেখা ধোঁয়াটা কী?
উত্তর: সেটি জলীয় বাষ্পের ঘনীভবনের ফলে তৈরি ছোট ছোট জলকণা, যা আলো প্রতিফলিত করে।

১০। গ্লাস থেকে কিছুটা উপরে ধোঁয়া কেন দেখা যায় না?
উত্তর: জলকণাগুলি বাতাসে মিশে যায় বলে আর দেখা যায় না।

১১। জলের কয়টি অবস্থা রয়েছে?
উত্তর: তিনটি – কঠিন (বরফ), তরল (জল), গ্যাসীয় (বাষ্প)।

চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

মিশ্রণ পৃথকীকরণ

১২। কখন বলা হয় মিশ্রণ তৈরি হয়েছে?
উত্তর: যখন একাধিক পদার্থ মিশে একসঙ্গে থাকে, তখন সেটিকে মিশ্রণ বলে।

১৩। কয়েকটি মিশ্রণের উদাহরণ দাও।
উত্তর: চাল-কাঁকর, চিনি-জল, মুড়ি-মুড়ির গুঁড়ো, সিমেন্ট-বালি-জল।

১৪। চাল কাঁকরের মিশ্রণ থেকে আলাদা করার উপায় কী?
উত্তর: হাতে তুলে কাঁকর ফেলে দিলে চাল আলাদা করা যায়।

১৫। কোন অবস্থায় হাতে আলাদা করার পদ্ধতি কার্যকরী?
উত্তর: যখন মিশ্রণের পদার্থগুলোকে চক্ষে দেখা যায় এবং সহজে ধরা যায়।

১৬। তুষ কী এবং একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: ধানের খোসা হলো তুষ। এটি হালকা ও বাতাসে ভেসে যেতে পারে।

১৭। চাল থেকে তুষ কীভাবে আলাদা করা যায়?
উত্তর: বাতাসে ছড়িয়ে দিলে হালকা তুষ উড়ে যায় আর চাল পড়ে থাকে।

১৮। তুষ দূরে কোথায় গিয়ে পড়ে কেন?
উত্তর: তুষ হালকা বলে বাতাসে ভেসে দূরে গিয়ে পড়ে।

১৯। ছাঁকনি দিয়ে কী করা হয়?
উত্তর: ছাঁকনি দিয়ে চায়ের পাতাকে ছেঁকে ফেলা যায়, শুধু লিকার পাওয়া যায়।

২০। মুড়ি থেকে মুড়ির গুঁড়ো আলাদা করার উপায় কী?
উত্তর: চালুনি দিয়ে ছেঁকে গুঁড়ো ফেলে মুড়ি আলাদা করা যায়।

চতুর্থ শ্রেণী বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

২১। বালি চিনির মিশ্রণ থেকে আলাদা করার পদ্ধতি কী?
উত্তর: মিশ্রণ জলে মিশিয়ে রাখলে বালি নিচে বসে যাবে, জল দিয়ে চিনি পাওয়া যাবে।

২২। চাল থেকে ধুলো বা তুষ আলাদা করার উপায় কী?
উত্তর: চালকে জলে নাড়লে ধুলো ও তুষ ভেসে উঠে, জল ফেলে চাল আলাদা করা যায়।

২৩। পলিমাটি কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তর: বন্যার জলে ভেসে আসা মাটি ও পুষ্টিকণা জমে উর্বর পলিমাটি তৈরি হয়।

২৪। জলে মিশিয়ে দেওয়া নুনকে কীভাবে আলাদা করা যায়?
উত্তর: জল রোদে রেখে শুকিয়ে ফেললে বাষ্প হয়ে যাবে, আর নুন থালার তলায় পড়ে থাকবে।

আরও পড়ুন   ‘সারাদিন’ কবিতার প্রশ্নোত্তর তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা: Sure Success 2025

WIKIPEDIA LINK     পশ্চিমবঙ্গ_মধ্য_শিক্ষা_পর্ষদ

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Index